কুয়েতের নারী পাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে গিয়েছিলেন কেরলের ৩ মহিলা। শেষে রুদ্ধশ্বাস অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁরা সেখান থেকে ফিরে এলেন নিরাপদে। ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি তাঁরা সাহায্য পেয়েছেন সমাজসেবী সংস্থার। পুলিশ মনে করছে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে এমন বহু মহিলা নারী পাচার চক্রের শিকার হয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে, কেরলের তিন মহিলা অক্ষত অবস্থায় দেশে ফিরতেই ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে কেরলের মহিলারা ৩ টি সংগঠনের নাম জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন আইএসআইএস মতো জঙ্গি সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকার কিছু সংগঠন তাঁদের হুমকি দিয়েছে যে যদি তাঁরা দেশে ফিরে এই সংগঠন সম্পর্কে কিছু অন্তত মুখ খোলেন তাহলে ফল খারাপ হবে। মহিলারা জানাচ্ছেন বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও এমনই হুমকি আসত। ফরাসী রাজনীতিতে তোলপাড়! প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ সংসদে খোয়ালেন সংখ্যাগরিষ্ঠতা
মহিলারা জানিয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজনকে ৩.৫ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। তিনি বলেন, তাঁর পাসপোর্ট আটকে রেখে তাঁকে দিনের পর দিন ঘরে আটকে রপাখা হয়। মহিলাদের অভিযোগ, তাঁরা বিষয়টির প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁদের পাল্টা হুমকিতে বলা হয়, প্রতিবাদ করলেই আইএসআইএসের শিবিরে সিরিয়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন বহু বাংলাভাষী মহিলাকেও কুয়েতে এভাবে আটকে রাখা হচ্ছে। কেরলে এই কারবার চালানোর মূল হোথা আজুমনকে গ্রেফতার করেছে কেরল পুলিশ। কেরল পুলিশ জানতে পেরেছে এই গোটা চক্রের কিংপিন হলেন এমকে গাজালি ওরফে মাজিদ। সে দেশ ছেড়েছে বলে সন্দেহ। পুলিশ রয়েছে তার খোঁজে।